ওসমান হারুনী, জামালপুর প্রতিনিধি 06 May, 2024 02:25 PM
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে মেয়র মো. আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে উক্ত পৌরসভার ১১ (এগারো) জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায়
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণলয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টানা তৃতীয় বারের মতো
পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল কাদের শেখকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আব্দুল কাদের শেখ। আজ ওই রিট আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।
আব্দুল কাদের শেখের পক্ষে আদালতে রিট আবেদনটি শুনানিকারী সিনিয়র আইনজীবী মো. মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, 'আদালত সন্তুষ্ট হয়ে মেয়র পদ থেকে আব্দুল কাদের শেখকে বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখের অনাস্থা চেয়ে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন পৌর কাউন্সিলররা। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন করেন। ইসলামপুর পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জনই ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
গত ২৭ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভার কার্যালয়ে মেয়র আব্দুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। ২৯ এপ্রিল মেয়র পদ থেকে আব্দুল কাদের শেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তের আদেশ স্থগিতের বিষয়ে আব্দুল কাদের শেখ বলেন, ' মেয়র পদ থেকে আমাকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। আমার বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মূলত: আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ায় আমার ওপর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমার ওপর বরখাস্তের খড়ক নেমে আসে। সবকিছুই এলাকাবাসী জানে।